আরাফার দিনের আমল

তা ধৈর্য রয়েছে আজকে আমরা কথা বলার চেষ্টা করবো এই আরাফার দিনের আমল সম্পর্কে। আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেল পড়বেন তারা আজকে জানতে পারবেন রোজা রাখা সম্পর্কে কি কি দলিল রয়েছে। আরবি জিলহজ মাসের দিন বলা হয়। এবং এই দিনে হাজিরা মিনা থেকে আরাফার ময়দানে সমবেদন এবং অবস্থান। হজের রোকন রয়েছে সেটি হচ্ছে আরাফার ময়দানে অবস্থান করা।

আরাফার ময়দানে অবস্থান করার এই দিনটিকে বলা হয় আরাফার দিন এবং এই দিন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। ফজিলত হিসেবে এ দিনটির বেশ গুরুত্ব রয়েছে এবং আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হাদিসের মাধ্যমে আরাফার দিনের ফজিলত সম্পর্কে জানতে পেরেছি। ঈমানদার মুসলিম হিসেবে আমাদের সবসময় আমল করার চেষ্টা করা উচিত এবং সেই আমল হিসাবে যদি আরাফার দিনটি আমাদের ভাগ্যে থাকে তাহলে সেটা মিস করা উচিত নয়।

আরাফার দিনের ফজিলত

আরাফার দিনের ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসে আমরা বিভিন্ন বর্ণনা পেয়েছি। হযরত আনাস রাজিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, জিলহজ মাসের প্রথম দশকের প্রতিটি দিন 1000 দিনের সমতুল আর আরাফার দিনটি 10000 দিনের সমান মর্যাদা পূর্ণ। ফতহুল বারী

এ সম্পর্কে আমরা আরো জানতে পেরেছি যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন”আরাফার দিনটি সব দিবসের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। উমদাতুল কারী।

বিশেষ বিশেষ কারণে আরাফার দিনের মর্যাদা মুসলমানদের কাছে অনেক বেশি এবং মুসলমানরা সব সময় এই দিনটিকে স্মরণ করতে চায় মনেপ্রাণ এবং যখন এই দিনটি চলে আসে তখন আমলের মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা সন্তুষ্টি অর্জন করতে চায়। এছাড়া আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনুল কারীমে এই আরাফার দিনের কসম খেয়েছেন তাই অবশ্যই এই দিনটির তৎপর্য অনেক বেশি।

এই আরাফার দিনে যে সকল হাজীরা আরাফার ময়দানে অবস্থানরত অবস্থায় থাকেন তাদের অজস্র রহমত বর্ষিত করেন আল্লাহ তা’আলা। এ সম্পর্কে হযরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে এরশাদ করেন”বদরের যুদ্ধের দিন বাদে শয়তান সবচেয়ে বেশি অপদস্থ, ধিক্রিত ও প্রধান্নিত হয় আরাফার দিনে। কেননা এদিন শয়তান আল্লাহ পাকের অত্যধিক রহমত এবং বান্দার অগণিত পাপরাশি মাপ হতে দেখতে পাই। মত্তা ও মিশকাত।

কবরের আলোচনা থেকে আমরা আরাফার দিনের ফজিলত সম্পর্কে অবশ্যই জানতে পেরেছি আশা করব আপনারা এই দিনটির সর্বোত্তম ব্যবহার করবেন এবং আরাফার দিন যখন আপনার জীবনে আসবে তখন অবশ্যই আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করবেন।

আরাফার দিনের আমলসমূহ

আরাফার দিনের অনেক ধরনের আমল রয়েছে তাই আপনারা যারা আরাফার দিনকে যথেষ্ট কাজে লাগাতে চাচ্ছেন তারা বিভিন্ন ধরনের আমলের মাধ্যমে নিজের আমলনামা পরিপূর্ণ করতে পারেন। আমাদের মুসলমানদের জন্য আরাফার দিন অত্যন্ত রহমতের দিন তাই এই দিনে যত বেশি ইবাদত বন্দেগী আমরা করব তত বেশি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারব।

আরাফার দিনের আমল গুলোর মধ্যে প্রথমে রয়েছে জিকির ও তাজবীহ পাঠ করা। জিকির ও তাজবীহ আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি পছন্দ করেন এবং আপনারা যারা মনে প্রাণে আরাফার দিনটিকে মেনে চলেন তারা এই দিনে যদি আরাফার ময়দানে থাকতেও না পারেন তারপরেও যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন সব সময় জিকির ও তাজবীদ পাঠ করবেন।

আরাফার দিনের আরো একটি বড় আমল হচ্ছে দোয়া করা। একটি ঘোষণায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন সর্বোত্তম দোয়া হচ্ছে আরাফার দিনের দোয়া। অর্থাৎ এই আরাফার দিনে হাজিরা যখন আরাফার ময়দানে অবস্থান করে তখন যে দোয়া করা হয় আল্লাহ তা’আলা সঙ্গে সঙ্গে সে দোয়া কবুল করে নেন।

আরাফার দিনে আরেকটি উত্তম আমল হচ্ছে রোজা রাখা। অবশ্যই আরাফার দিনে আমাদের রোজা রাখতে হবে এবং যে সকল হাজিরা আরাফার ময়দানে অবস্থান করেন তারা আরাফার দিনের রোজা রাখেন এবং সেই আরাফার ময়দানে অবস্থান করে সেখানে বসে থেকে ইফতারি করেন। তাই আমাদেরও চেষ্টা করতে হবে এই দিনে রোজা রাখতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *