৪০ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার কি আমল আছে

বিয়ে আমাদের জীবনে অন্যতম একটি অধ্যায় এই বিয়ে যদি আমরা করতে পারি তাহলে অবশ্যই আমাদের জীবনে সবকিছু পরিবর্তন হয়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে বিয়ের বয়স হয়ে যাওয়ার পরেও ছেলে অথবা মেয়ের বিয়ে হতে চায় না। এই নিয়ে ছেলে মেয়ে উভয় এবং এর সঙ্গে তাদের অভিভাবক ও দুশ্চিন্তায় থাকে যে কি কারনে এই ধরনের বিষয় হচ্ছে।

যাদের বয়স অতিক্রম হয়ে গেছে বিয়ের প্রস্তাব আসার পরেও বিয়ে হচ্ছে না তারা বিভিন্ন ধরনের আমল করতে পারেন এবং আল্লাহ তা’আলা যদি আপনাদের সেই আমলে সন্তুষ্ট হয় তাহলে অবশ্যই আপনার বিয়ের সময় এগিয়ে দেবেন। এতে করে ৪০ দিনের মধ্যেই যে আপনার বিয়ে হবে এমন কোথাও লেখা নেই তার কারণ হলো প্রত্যেকটি ভালো কাজ হওয়ার একটি সময় নির্ধারণ করা আছে আগে থেকেই।

বিয়ের জন্য কি কি আমল করতে পারেন

বিয়ের জন্য সাধারণত যে ছোট ছোট আমল গুলো আমরা করতে পারি সেই আমলগুলো করতে আমাদের আলাদা কিছু করতে হবে না। সবার প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে নিজের চরিত্রকে খুব সুন্দর ভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে। তার কারণ হলো আপনি যখন আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্য নিজের চরিত্রকে সুন্দর করে গড়ে তুলবেন তাহা এখন আল্লাহতায়ালা অবশ্যই আপনার উপর সন্তুষ্ট হবে এবং প্রিয় বান্দাদের দোয়া আল্লাহ তায়ালা কখনোই ফিরিয়ে দেন না।

বিয়ে করার অন্যতম আমল হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাত আদায় করা এবং ফরজ সালাতের পর দুই হাত তুলে আল্লাহ তা’আলা কে স্মরণ করে দোয়া করা। দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহতালার কাছে মনের মত জীবনসঙ্গী চেয়ে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল।

আপনারা সকলে হয়তো অবগত আছেন যে দোয়া করার কিছু বিশেষ সময় রয়েছে যেই সময়গুলোতে দোয়া করলে আল্লাহ তা’আলা সঙ্গে সঙ্গে কবুল করেন। যেমন ধরুন শবে কদরের রাতে দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন এর পাশাপাশি আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিবের নামাজের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত এই সময়টুকুতে দোয়া কবুল হওয়ার সময়। এছাড়াও আরাফার দিনের ইফতারিকে সামনে রেখে সকল রোজাদার ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয় তাই জীবনসঙ্গী চাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি এই সময়গুলো কাজে লাগিয়ে আল্লাহতালার কাছে দোয়া চাইতে পারেন।

এছাড়া কোরআন হাদিসের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আমল করতে বলা হয়েছে যেমন মনে মনে ইস্তেগফার পাঠ করা। মনে মনে যারা ইস্তেগফার পাঠ করে আল্লাহ তা’আলা তাদের অনেক বেশি পছন্দ করেন এবং এমন একটি সময় এসে যায় যখন সে এই জবান থেকে আল্লাহ তায়ালার কাছে কিছু যায় তখন সেটা ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।

এছাড়াও অভিভাবক এবং পাত্র-পাত্রী উভয়েই বিয়ের জন্য সূরা মরিয়ম বেশি বেশি পড়তে পারেন। অবশ্যই সূরা মরিয়ম বেশি বেশি পড়ার মাধ্যমে বিয়ের সময় এগিয়ে আসতে পারে এবং যার জন্য অবশ্যই আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। আশা করছি বিয়ের আমল সম্পর্কে আপনারা একটু হলেও ধারণা পেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *